ফেনীর ফুলগাজীতে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাঙামাটি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষণের শিকার কিশোরী।
ফুলগাজী থানার ওসি কুতুব উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। আদালত থেকে গ্রেফতারের কপি হাতে পাওয়ার পর পর তাকে গ্রেফতারের অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তৌহিদুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠনোর নিদেশ দেয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল আবছার চৌধুরী মুকুল জানায়, ফুলগাজীতে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০২০ সালের ১ জুন কৌশলে ওই কিশোরীকে ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায় শাওন। সেখানে জুসের সঙ্গে নেশাজাতীয় জিনিস মিশিয়ে খাইয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফেরার পর কিশোরীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় শাওন। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এক পর্যায়ে কিশোরীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। পরে তার স্বজনরা বিষয়টি কনস্টেবল শাওনকে জানালে সে অস্বীকার করে এবং উল্টো হুমকি দেয়। এতে বাধ্য হয়ে কিশোরীর মা ২৩ ফেব্রুয়ারি কনস্টেবল শাওন, তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু ও ফিরোজ আহম্মদ বাবু নামে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফুলগাজী থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।
