বগুড়ার শিবগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের চককানু গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে। তবে আরেক অভিযুক্তকে এলাকাবাসী আটক করলেও ছিনিয়ে নিয়েছে তার পরিবার।
পুলিশের হাতে আটক ধর্ষণে অভিযুক্ত দুইজন হলেন- উপজেলার চককানু গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে মোর্শেদুল ইসলাম (২০), একই গ্রামের শাকিরুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান (১৫)। পলাতক রয়েছেন মামলার প্রধান অভিযুক্ত আক্কাস আলীর ছেলে বাবু প্রামাণিক (২৩)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশুটি তার দাদীর সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ৩০ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৯টার দিকে শিশুটি ওই মুদি দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় বাবু প্রামাণিকসহ আরও দুইজন তার পথরোধ করে মুখ চেপে তুলে নিয়ে পাশের একটি ড্রেনের পাড়ে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার করে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে যায়। বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে পরিবারের লোকজন রাতেই বাবুকে পালানোর সময় আটক করে। পরে বাবুর পরিবারের লোকজন তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলায় পলাতক থাকা ১নং আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।