বগুড়ার শিবগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাও আবদুর রহমান মিন্টু (৩২) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

১ জুন মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২ জুন বুধবার দুপুর ১২টায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আবদুর রহমান মিন্টু উপজেলার বিহার ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর চাঁনপাড়ার মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল কলেজ পাড়ার হযরত ফাতেমা (রা.) হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদ্রাসাটি আবাসিক। সেখানে ১২ জন ছাত্রী একসঙ্গে হলরুমে থাকতো। তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রীও লেখাপড়া করতো। হলরুমের পাশেই সপরিবারে বাস করেন মাও. আবদুর রহমান মিন্টু।

ঘটনার দিন ৩০ মে রাতে ছাত্রীরা সবাই খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মাও. মিন্টু হলরুমে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন।

পরদিন মেয়েটি বাড়িতে মোবাইল করে কান্নাকাটি করে। এ কারণে পরিবার থেকে লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার দাদিকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আবদুর রহমান মিন্টুকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই মাদ্রাসা শিক্ষক মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, এর আগেও তিনি ওই মাদ্রাসার আরও তিন-চারজন ছাত্রীকে একই কায়দায় ধর্ষণ করেছেন বলে পুলিশকে জানান।

মান-সম্মানের ভয়ে ওইসব ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়নি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন