বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে (১৫) গ্রেফতার করেছে। ছাত্রীর মা রোববার রাতে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
২৩ আগস্ট সোমবার আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ তাকে শিশু আদালতে প্রেরণ করেছেন।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার শিশুর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে বাবা-মার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আদালতের জিআরও এএসআই বিলকিস খাতুন এ তথ্য দিয়েছেন। তবে শিশু আদালত ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা স্পেশাল পিপি আমানউল্লাহ জানাতে পারেননি।
অভিযোগে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর গোসাইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও কূপতলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র গত ১৯ আগস্ট সকালে কেক খাওয়ানোর প্রলোভনে প্রতিবেশী স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে তাকে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটে ছাত্র পালিয়ে যায়। বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় ছাত্রীর মা গত রোববার রাতে থানায় ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সোমবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও জানান, ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে বাবা-মার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি ওই ছাত্রকে শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে আদালত কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা স্পেশাল পিপি বলতে পারেননি।