বগুড়ায় গত রমজান মাসে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ মাওলানা ওমর ফারুক (৩৮) নামে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদর থানা পুলিশ বগুড়া সদরের পলাশবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকার হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেদার উদ্দিন জানান, নির্যাতনের শিকার দু’জন শিশুর সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। মামলা হলে ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষক মাওলানা ওমর ফারুক বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বগুড়া সদরের পলাশবাড়ি উত্তরপাড়া হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি মাদ্রাসাতেই থাকতেন। গত রমজান মাসে মাদ্রাসার বোর্ডিং-এ থাকা কয়েকজন শিশুকে ধর্ষণ করেন। শিশুদের এ ঘটনা প্রকাশ না করতে ভয় দেখিয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি পাঠানো হয়। ঈদের ছুটি শেষে ছাত্ররা মাদ্রাসায় যেতে আপত্তি করায় অভিভাবকদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা কারণ জানতে চাইলে, একপর্যায়ে শিশুরা বাবা-মার কাছে হুজুর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে তাদের ধর্ষণের অভিযোগ করে।
শুক্রবার ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিভাবকদের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা হুজুরকে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাদ্রাসা ঘেরাও করার প্রস্তুতি নেন। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ মাদ্রাসায় যায়। এ সময় দুই শিশু শিক্ষার্থী হুজুরের বিরুদ্ধে তাদের ধর্ষণের অভিযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
এসআই বেদার উদ্দিন জানান, মাওলানা ওমর ফারুক গত রোজার মধ্যে কয়েকজন ছাত্রকে ধর্ষণ করেছে। দুই শিশুর স্বীকারোক্তিতে এর সত্যতা মিলেছে। বিকালে এ খবর পাঠানোর সময় অভিভাবকরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
অন্যান্য শিশুদের যৌন নির্যাতন করেছে তা নিশ্চিত হতে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে তাকে, এমনটিও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।