আশ্রয়ণ প্রকল্পে ‘অনিয়মের’ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন বগুড়ার দুই সাংবাদিক।
এই সময় হামলাকারীরা তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে তারা অভিযোগ করেন। হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন সময় টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমান ও ক্যামেরা পার্সন রবিউল ইসলাম।
পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হামলার শিকার সময় টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমানহামলার শিকার সময় টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমানস্থানীয় বাদিন্দা হাসেম আলী বলেন, বগুড়া সদরের দশটিকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ‘নিম্নমানের’ ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে সেখানে। দুপুরে ওই প্রকল্পের ছবি তুলতে আসেন এই দুই সাংবাদিক। তারা অনেকের সঙ্গে কথা বলেন।
“ওই সময় স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার সময় একদল লোক লাঠি দিয়ে তাদের পিটাতে থাকেন। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল নিয়ে যায়।”
পরে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ নিয়ে উদ্ধার করতে যান যমুনা টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মেহেরুন সুজন।
তিনি বলেন, অচেতন অবস্থায় রবিউল ইসলামকে এবং মারাত্মক আহত অবস্থায় মাজেদ রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোবাইল ও ক্যামেরা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বগুড়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, “ঘটনার কথা জানতে পেরে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি দুজন সাংবাদিক মাটিতে পড়ে আছেন।”
তিনি আরও বলেন, “সাড়ে আট কোটি টাকার প্রকল্প উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে আমি দেখভাল করছি। নিয়ম অনুযায়ীই করছি। অনিয়ম হয়নি।”
বগুড়ায় হামলার শিকার সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন রবিউল ইসলামবগুড়ায় হামলার শিকার সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন রবিউল ইসলামএখানে লুৎফর রহমানের অবস্থানের কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে লুৎফর রহমান কাজ দেখভাল করছেন।
আহত ক্যামেরা পার্সন রবিউল বলেন, “লুৎফর রহমানের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর কাকে যেন ফোন দিল। তার কিছুক্ষণ পর হঠ্যাৎ একদল লোক এসে আক্রমণ করল।”
এই ব্যাপারে লুৎফর রহমান বলেন, “আমার সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর কারা হামলা করল তাদের চিনি না।”
এই ব্যাপারে নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, “ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি লুৎফর রহমান। এলাকার উন্নয়নের বিষয় তিনি দেখছেন। তবে অনিয়ম বিষয়ে অনেকেই বলেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলবেন।”