স্বামীর ঘরে স্থান না হওয়ায় গার্মেন্টস কর্মী মীম আক্তার (১৯) ঢাকা থেকে বগুড়ায় ফিরছিলেন মার কাছে। বাস থেকে নেমে রিকশাতেও উঠেছিলেন বাসায় যাওয়ার জন্য। সারারাত জেগে মা খায়রুন্নাহার অপেক্ষা করছিলেন মেয়ে কখন আসবে? কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হলেও বাসায় পৌঁছেনি মীম।
সকালে পুলিশের ফোনে মেয়ের সন্ধান পেয়ে ছুটে যান কয়েক কিলোমিটার দূরে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম বুড়িতলা ফাঁকা মাঠে। সেখানে মেয়ে মীম আক্তারের নিথর দেহ দেখে শনাক্ত করেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতের যেকোনো সময় মীম আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত মীম আক্তারের মা খায়রুন্নাহার জানান, এক বছর আগে বড় মেয়ে মীম চলে যান ঢাকার আশুলিয়ায়। সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে সংসারের হাল ধরেন। তখন পরিচয় হয় রংপুরের রিপনের সাথে। দুজনের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ৫ মাস আগে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের পর রিপন স্ত্রীকে চাকরি করতে দিবে না। আর স্ত্রী মীম চাকরি করতে চান বগুড়ায় থাকা মা ও দুই ভাইকে সহযোগিতা করার জন্য। এনিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। বুধবার (৩ জুন) রিপন মীমকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়।
পরে ৪ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রংপুরগামী বাসে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মীম। নিজের ফোনটি স্বামী কেড়ে নেয়ায় বাসের সুপারভাইজারের ফোনে মা খায়রুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ রাখে মীম। রাত ১২টা পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাসায় না ফিরলে মা খায়রুন্নাহার ফোন দেন বাসের সুপারভাইজারকে। তিন জানান রাত ১২টার দিকে মীমকে বনানী মোড়ে বাস থেকে নামিয়ে রিকশায় তুলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সারা রাতেও ফেরেনি মীম আক্তার।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, হত্যার ঘটনাটি এখনো ক্লুলেস। মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।