বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে ছোট পাথরঘাটা গ্রামে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। আর এ অভিযোগ ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোসলেম খানের বিরুদ্ধে। এতে ওই শিশু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে অপারেশন করে বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ দেয় অভিযুক্ত ও তার ছেলে সালু খান। মানসম্মানের ভয়ে এতদিন মুখ খোলেনি ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত মোসলেম খান উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে মৃত আফতাব উদ্দিন খানের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি জানায়, পেয়ারা কিনতে গেলে পেয়ারা দেওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধর্ষণ করে মোসলেম খান।
শিশুটির মা জানান, কিছুদিন ধরে মেয়ের শারিরীক আকৃতির পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয়। পরে জানতে পারি মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারি গর্ভের সন্তানের বয়স ১৮ সপ্তাহ। এরপর মেয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রথমে ভয়ে বলতে না চাইলেও পরে ঘটনা খুলে বলে। এরপর মোসলেম খানের কাছে জানতে চাইলে সেও ঘটনা কথা স্বীকার করে। এ কথা তার ছেলেদের জানালে তারা ৩০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ দেয় এবং মেয়েকে বিবাহের সময় সকল খরচ বহনের আশ্বাস দেয়। আমরাও মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে অপারেশন করে বাচ্চা নষ্ট করি।
ধর্ষণের অভিযোগ ও বাচ্চা নষ্ট করার বিষয়টি জানতে পেরে ২৭ জানুয়ারি সোমবার রাতে শিশুটির বাড়ি থেকে তথ্য জানতে পারে সাংবাদিকরা। এরপর সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার কারণে ওই শিশুর নানা হানিফ মুন্সীকে রাতেই মারধর করে মোসলেম খানের ছেলেরা।২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে হানিফ মুন্সি পাথরঘাটা থানায় মারধরের বিষয় মৌখিক অভিযোগ করেন।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মারধরের শিকার হানিফ মুন্সী মৌখিক ভাবে অভিযোগ করলে তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত মোসলেম খানের বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালা মারা অবস্থায় পাওয়া যায়।