বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে ১১ জানুয়ারি শনিবার সকালে মো. সুমন (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত মো. রিমনকে (১৫) গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

 

রিমন বাহেরচর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের দুলাল সিকদারের ছেলে ও গ্রেফতার সুমন পার্শ্ববর্তী মুলাদী উপজেলার কাজীর চর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। তারা দুজনই বাহেরচর ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর স্বজনরা জানান, সুমন ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে তার দূরসম্পর্কের নানা নোমান মাস্টারের বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে লেখাপড়া করে। নোমান মাস্টারের বাড়ি আর ওই কিশোরীর বাড়ি পাশাপাশি। সুমনের সঙ্গে রিমনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। তারা এক সঙ্গে চলাফেরা করে এবং মাস্টারের বাড়ি যাওয়া-আসা ছিল রিমনের। সেই সুবাদে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নোমান মাস্টারের বাড়িতে ডেকে নেয় রিমন। এসময় সুমন ছাড়া সেখানে কেউ ছিল। এরপর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে রিমন।

এসময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয় সুমন। পরে তারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি গিয়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। রক্তক্ষরণ হতে থাকে। বাবা-মা এ অবস্থা দেখে মেয়ের কাছে কারণ জানতে চান। বাবা-মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বললে অভিযুক্ত রিমন ও সুমনকে খুঁজতে থাকেন তারা।তাদের না পেয়ে পেয়ে রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি সুমনকে গ্রেফতার করেছে। রিমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণ সংক্রান্ত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার সকালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন