বাগেরহাটের চিতলমারীতে সাত বছরের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক ও ইমাম আমিনুল ইসলামকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। তিনি চিতলমারী চিংগড়ী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও চিংগডী জামে মসজিদের ইমাম। আমিনুল মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
চিংগুরি জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী জানান, প্রতিদিন সকালে ইমাম আমিনুল ইসলাম মসজিদ এলাকার আশপাশের শিক্ষার্থীদের আরবি শিক্ষা দিতেন। গত রবিবার (১ আগস্ট) সকালে সুযোগ পেয়ে এলাকার জনৈক ব্যক্তির সাত বছরের শিশুকে মসজিদের সঙ্গে তার থাকার ঘরে নিয়ে দরজা আটকিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। ঘটনাটি শিশুটি বাড়িতে এসে তার মাকে বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষককে আজ বুধবার ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমাম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের মেয়ের মতো ওই ছাত্রীকে একটু আদর করেছি। আমার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘সাত বছর বয়সের শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী মেয়ের মা।’