বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকের পিটুনিতে আহত মো. তামিম (১৪) নামে এক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া হাজি বাড়ি কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবু দাউদ ৪ এপ্রিল রবিবার সকালে ছাত্র তামিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
আহত ওই ছাত্র মাদ্রাসা সংলগ্ন মধ্য নলবুনিয়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক শামীম হাওলাদারের ছেলে। এব্যাপারে শরণখোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তামিমের বাবা।
শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম তার হাত-পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নগুলো দেখায়। প্রতিটি আঘাতে রক্ত জমাট বেধে ফোঁসকা পড়েছে। লাঠির আঘাতে তার বাম হাতের কনু আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মো. আল-আমীন বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। সকালে ঘটনা জানতে পারলাম দাউদ হুজুর তামিমকে শাসন করতে গিয়ে একটু অতিরঞ্জিত করে ফেলেছে। এভাবে শাসন করায় আমি হুজুরকে ধমক দিয়েছি। আমরা তামিমের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি আবু দাউদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, রাব্বি নামের ওই ছেলেটির হাত ভাঙা। তামিম তাকে প্রতিবন্ধী বলে টিটকারী মারে। এই অভিযোগ করার পর আমার খুব খারাপ লাগে। তখন আমার মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় আমি কয়েকটি পিটুনি দিয়েছি। এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।
শরণখোলা উপজেলা হাসপাতারের চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছেলেটির শরীরে ১৩টি আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে। আঘাতগুলো লালবর্ণ হয়ে গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, তামিম নামের এক মাদ্রসাছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।