বাহুবলে ফরিদ মিয়া (২২) নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ২২ আগস্ট রোববার রাতে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়। ধর্ষিতা শিশুকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের আকরম মিয়ার পুত্র ফরিদ মিয়া চিচিরকোট গ্রামের পূর্বপাড়া জামে মসজিদে গত ৪ মাস ধরে ইমামতি করে আসছেন। পাশাপাশি মক্তবেও শিক্ষকতা করতেন তিনি। গত শনিবার রাতে গ্রামের ওই মসজিদে মহররম উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিলে গ্রামের অন্যদের সঙ্গে ৮-১০ শিশুকন্যাও উপস্থিত হয়। মিলাদ মাহফিল শেষে চিচিরকোট গ্রামের জনৈক ব্যক্তির শিশুকন্যাটি প্রসাব করার কথা বললে ইমাম ফরিদ মিয়া পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
সেখানে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশ থেকে আসা লোকজন তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় মাতব্বররা দিনভর বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। রাতে ধর্ষিতা শিশুর পিতা বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষিতা শিশুর পিতা জানান, মসজিদের ইমাম লম্পট ফরিদ মিয়া আমার শিশুকন্যাকে মসজিদের পিছনের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে আমি ওই শিক্ষককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলার চিচিরকোট গ্রামের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ইমাম ফরিদ মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।