তাবিজ আনতে গিয়ে খানকার মসজিদের ইমামের হাতে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনা কাউকে বলে দিলে কুফরির মাধ্যমে বান মেরে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

 

৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে এসব অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানায় মাওলানা সিরাজুল ইসলামের (৫০) নামে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিরাজুল ইসলাম নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আবুল উলায়া খানকার প্রধান পরিচালক ও সেখানের মসজিদের ইমাম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাস আগে আবুল উলায়া খানকা শরীফে ওই নারী তার ৫ বছরের শিশুকন্যার জন্য তাবিজ আনতে যান। সেখানে গেলে দরজা বন্ধ করে ‘ধর্ষণ’ করেন সিরাজুল ইসলাম। পরে ওই নারীকে হুমকি দেওয়া হয় যে, এ বিষয়ে কারো কাছে কিছু বললে কিংবা অভিযোগ করলে তাকে ও তার শিশুকে কুফরির মাধ্যমে বান মেরে হত্যা করা হবে। সে ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি এতোদিন গোপন রেখেছিলেন ওই নারী।

মামলায় আরো বলা হয়, ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে যায়। পরে ওই নারী ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য সর্দাররা নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে বসে। পুলিশ খবর পেয়ে সিরাজুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন