গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ১৬ বছরের এক কিশোরকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে স্থানীয় যুবলীগ নেতাসহ তিনজন। উপলোর চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউপুর গ্রামের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। বাদি ও ওই কিশোরের বাবা অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্তরা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দিচ্ছে। আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অভিযুক্তরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাউছার মিয়া, এই উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের ইয়াছিন মিয়া ও লোকমান মিয়া।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় তাকে আটকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে অভিযুক্তরা। এসময় কিশোরটির চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি গ্রামের প্রভাবশালী মাতব্বরদের অবহিত করলেও করোনার অজুহাতে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পরে বিজয়নগর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলার পরামর্শ দেয় থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচা সালমান তারেক বাদি হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম ২৩ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট ফারজানা আহমদ এর আদালতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরের জবানবন্দি রেকর্ড করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বাদি সালমান তারেক ও বাবা ইকবাল মিয়াকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্তরা।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন