ভোলার মনপুরায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মো. শামীম (২১) নামে এক যুবক। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় মাতবররা সমাধানের আশ্বাস দিয়েও কোনো সমাধান করেননি গত ৫ মাসে।

 

পরে ভুক্তভোগী পরিবার ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে মনপুরা থানা রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহণ করে। এ সুযোগে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই যুবক চট্টগ্রামে পালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার মনপুরা থানার পুলিশের একটি টিম চট্টগ্রামের কোতোয়ালি লালদীঘি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে মনপুরায় নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

মো. শামীম উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের বাসিন্দা মো মাহবুবুবের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে দর্জির কাজ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে রাত ১১টায় মোবাইল ফোনে শামীম ওই তরুণীকে বাড়ীর পাশে পুকুরপাড়ে আসতে বলেন। পরে বিয়ের আশ্বাসে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিলে ওই তরুণী চিৎকার দেয়। পরে এলাকার লোকজন এসে ওই তরুণ-তরুণীকে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করেন।

ওই রাতেই যুবকের পিতা-মাতা মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেন। এমনকি পরদিন রেজিস্ট্রি বিবাহ হবে বলে আশ্বাস দিয়ে যুবককে ছাড়িয়ে নেন। কিন্তু পরদিন ওই যুবক চট্টগ্রামে পালিয়ে যান। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটি হাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি থানা কিংবা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাসে সমাধান না হলে গত ৯ আগস্ট থানায় মামলা করতে গেলে আদালতে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

পরে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে আদালতের নির্দেশে মনপুরা থানা রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নেয়।

মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান, ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের নির্দেশে মনপুরা থানায় ধর্ষণ মামলা নেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আসামি শামীমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন