তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘মসজিদে মাইকিং করে ’চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৩নং রায়পুর ইউনিয়নের রায়পুর ও চুন্নাপাড়া গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জানে আলম সমকালকে জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানে আলম জানান,শুক্রবার রাতে উপজেলার রায়পুর গ্রামের বাদিল্লার বাড়িতে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা পার্শ্ববর্তী চুন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াসের ছেলে মো.শাহেদ (২৮) একটি পক্ষ নেন। এতে ওই বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে শাহেদ ওই বাড়ি ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যান।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশি বৈঠক বসার কথা ছিল। ২৪ জুলাই শনিবার সকালে লোকজন নিয়ে শাহেদ ওই বাড়িতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওর ঘটনা ঘটে। ওই সময় রায়পুর বাদিল্লা বাড়ির লোকজন স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত আসছে’ ঘোষণা করে।
এর জের ধরে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জানে আলম বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই পক্ষের লোকজনকে ডেকে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে কয়েকদিনের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।