নওগাঁর মহাদেবপুরে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মামলা তুলে নিতে মাদ্রাসা শিক্ষকসহ তাদের লোকজন ওই হিন্দু নারী এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। এদিকে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও ১৬ আগস্ট সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশ নড়াচড়া শুরু করেনি।
জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ভোর সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলা শহরের ব্রাহ্মণ পাড়ার বাসিন্দা অমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী দ্বীপালি রানী রায় (৪৫) প্রতিদিনের মত পার্শ্ববর্তী সর্বমঙ্গলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার ধারের একটি গাছে পূজার জন্য ফুল তুলতে যায়। এ সময় স্থানীয় স্কুল পাড়ায় বসবাসকারী ও উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাহারুল উলুম আলীম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৮) দ্বীপালি রায়কে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ তাকে জোরপুর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এসময় দ্বীপালির আত্মচিৎকারে ওই পথ দিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরা লোকজন ঘটনা স্থলে এগিয়ে এলে মাদ্রাসা শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত মুনির উদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনায় দ্বীপালি রায় বাদী হয়ে ওইদিনই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দেন।
অভিযোগ রয়েছে, থানায় মামলা দায়ের করার পর থেকে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক এবং তার লোকজন বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনায় মামলা দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে।