ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সলেমানপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে হাসানুজ্জামান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০ টার দিকে মাদ্রাসায় সালিশ বৈঠক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক হাসানুজ্জামান সলেমানপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলা নং ৫২ ও ৫৩ তারিখ-২১/০৯/২১ইং। আজ মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মহেশপুর উপজেলার ন্যাপা ইউনিয়নের সলেমানপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা। মাদ্রাসার শিক্ষক হাসানুজ্জামান ১৫-১৬ দিন আগে ওই মাদ্রাসার দু’শিশু শিক্ষার্থীকে পৃথক দিনে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি না বলার জন্য হুমকী ধামকী দেয়। শিশু দুটি ধর্ষণের ঘটনা পরিবারের কাছে চাপা রাখে। অবশেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এক শিশু ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে জানায়। এরপর অপর শিশুও তাকে একভিাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ঘটনা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এনেিয় সোমবার রাতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকাবাসী কওমী দারুল উলুম মাদাসা প্রাঙ্গণে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। খবর পেয়ে মহেশপুর থানার এসআই ইউনুস আলী রাত ১০ টার দিকে ওই সালিশ বৈঠকে হাজির হয় এবং অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক হাসানুজ্জামানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান জানান, তারা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন দুই শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হাসানুজ্জামান যৌন নির্যাতন করেছেন। এ বিষয়ে তার বিচারের জন্য সোমবার রাতে সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। সেখান থেকে মহেশপুর থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিত ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে মহেশপুর থানায় পৃথক পৃথক ২টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৫২ ও ৫৩ তারিখ-২১/০৯/২১ইং। পুলিশ গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক হাসানুজ্জামানকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সেপের্দ্দ করেছে।