মাদারীপুরের কালকিনিতে  দু’দিন আটকে রেখে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জামাতুল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতালে। এ ঘটনায় পলাতক জামাতুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্কুলছাত্রীর স্বজন ও এলাকাবাসী।

 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর সদরের মস্তফাপুর থেকে কালকিনির এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যান জামাতুল বেপারী। সেখানে দু’দিন ঘরে আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে ওই স্কুলছাত্রী তার চাচাকে মোবাইলে ঘটনা জানালে সেখান থেকে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জামাতুলের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর বিয়ে হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। নির্যাতিতার পরিবার বিষয়টিতে অস্বীকৃতি জানালে জামাতুল লোকজন নিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্কুলছাত্রীর পরিবার।

এদিকে অসুস্থ অবস্থায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওই স্কুলছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অখিল সরকার জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, অভিযুক্ত জামাতুলকে ধরতে সদর ও কালকিনির দুই থানার একাধিক টিম কাজ করছে।

দিনমজুর বাবার সংসারে মা হারা ওই শিক্ষার্থী ৫ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। এক বছর আগে জামাতুলের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তার।

সময় টিভি নিউজ

মন্তব্য করুন