সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় মুকুল মোল্লা নামের এক ব্যক্তির হাত পা ও নাক মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ১০ জুন সোমবার সকালে শহরের অদুরে বাইপাস সড়ক ধারে কুচপুকুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে ১৭টি চুরির মামলা রয়েছে। তবে মুকুলের বাবা কেনা মোল্লা বলছেন মুকুলকে গ্রামবাসী আটক করে ৯ জুন রোববার বিকালে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সোমবার ভোরে তার লাশ উদ্ধার করা হয় কুচপুকুর থেকে।

তবে তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে চুরি করতে যেয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে সে মারা গেছে বলে তাদের ধারণা। মুকুল মোল্লা (৩৮) শহরতলির বাঁকাল ইসলামপুর চরের বাসিন্দা।

তার দিনমজুর বাবা কেনা মোল্লা আরও জানান, তার ছেলেকে পুলিশের এসআই ইসরাফিলের কথা মতো গ্রামের লোকজন ধরে আনে। পরে তারা তাকে মারধর দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়। সোমবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে শহরের ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইসরাফিল জানান, তিনি তাকে ধরে আনেননি। এমনকি গ্রামবাসীও তাকে ধরে দেয়নি। শহরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, পেশকারসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে সম্প্রতি চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসব চোরদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

তিনি জানান, মুকুল কারো বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তাদের হাতে পিটুনি খেয়ে প্রাণ হারাতে পারে বলে আমরা ধারনা করছি। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন