রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে যাওয়া রোগীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অপেক্ষমান রোগীদের লাইন নিয়ে বিবাদের জেরে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় আনসার সদস্যরা রুবেল রশিদ নামে এক ফটো জার্নালিস্টকে মারধর ও তার ক্যামেরা ভাঙচুর করেছেন।

 

শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

আনসার সদস্যদের মারধরের শিকার সাংবাদিক রুবেল বলেন, “আজ (শুক্রবার) প্রায় ৪০ জন লোককে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য টিকিট দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩৪ জনকে পরীক্ষার পর আনসার সদস্যরা জানান আজকে আর নমুনা নেওয়া হবে না।”

“পরে শাওন নামে এক তরুণের সঙ্গে আনসার সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। তার সিরিয়াল নম্বর ছিল ৩৬। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা তাকে মারধর করতে শুরু করেন।”

রুবেল আরও জানান, তখন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক জয়িতা রায় ছবি তুলতে গেলে আনসার সদস্যরা তাকে চড় মারতে উদ্যত হন।

তিনি বলেন, “আমি ঘটনার ছবি তুলতে গেলে এক আনসার সদস্য আমাকে চড় মারেন এবং আমার ক্যামেরার লেন্স ফিল্টার ভেঙে ফেলেন।”

আনসার সদস্যরা সাংবাদিকদের ক্রমাগত গালিগালাজ করে যাচ্ছিলেন এবং একপর্যায়ে বেঁধে রাখারও হুমকি দেন। “তারা বলেন, সাংবাদিকরা এখানে থাকতে পারবে না।”

আক্রমণের শিকার নারী সাংবাদিক জয়ীতা রায় বলেন, “মুগদা হাসপাতালের সামনে এক রোগীর স্বজনের সঙ্গে করোনা পরীক্ষার সিরিয়াল নিয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হচ্ছিল। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে ভেবে আমি ক্যামেরা বের করে এবং ছবি তুলি।”

“বিষয়টির প্রতিবাদ করলে আনসার সদস্যরা বাজে কথা বলতে বলতে আমার দিকে তেড়ে আসে। তখন আমি কিছুটা পিছিয়ে যাই।”

মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরামুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ওই তরুণ (শাওন) কিংবা সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন