মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, পুলিশ বক্স ও যানবাহনে ভাংচুর এবং আগুন দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম জানানো যাবে না বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এসআই জামাল উদ্দিন।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্ট থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে হেনস্তা করার ঘটনার পরপর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হেফাজত কর্মীদের তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

গজারিয়া থানার এসআই জামাল উদ্দিন রোববার সকালে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক থেকে দেড়শ’ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।

সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে শনিবার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে অবস্থান নেয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সে সময় তাদের অনেকেই ফেসবুকে লাইভে এসে মামুনুল হক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে রিসোর্টে আসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পাওয়ার পর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন জেলার হেফাজত সমর্থকরা ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভে নামেন।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়ও রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হেফাজত সমর্থকরা। এতে সড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

সড়ক অবরোধের পাশাপাশি জামালদি বাসস্ট্যান্ডে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি বক্স, কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাটে ভাংচুর চালান হেফাজত সমর্থকরা।

প্রায় ৩০ মিনিট পর পুলিশ হেফাজত কর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দীন জানান, হেফাজতের তাণ্ডব ও ভাংচুরের ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দেড়-দুইশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন