মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পৌর এলাকায় মসজিদের মক্তবের অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ১১ বছর বয়সী শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগে ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৬ জুন বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ইমামের নাম শফিকুল ইসলাম (৪২)। চুনারুঘাট থানার গোলগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার একটি জামে মসজিদে প্রতিদিনের মতো শিশু-কিশোরদের মক্তবে পাঠদান করানো হয়। বুধবার সকাল ৭টায় তার ১১ বছর বয়সী শিশু অন্য শিশুদের সঙ্গে মসজিদে পাঠ গ্রহণ করতে যায়।

মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৮টায় অন্য শিক্ষার্থীদের পাঠদান শেষে ছুটি দিয়ে দেয়। শুধু নিপীড়নের শিকার ওই শিশুকে দরকার আছে বলে মসজিদের পাশে (ইমাম সাহেব থাকার রুমে) হুজরাখানায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে অশালীন আচরণ করেন।

মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়। ঘটনাটি জানার পর শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এএসআই মামুদ আলীর নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ আসামি শফিকুল ইসলামকে কুশালপুর গ্রাম থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিশুটি পড়া না পারার কারণে বেত্রাঘাত করেছিলাম। তাই আমার নামে শিশুর পরিবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান থানায় মামলা দায়ের ও আসামি গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণের কথা স্বীকার করেছেন।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন