ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে সংখ্যালঘু এক পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে একদল সন্ত্রাসী।

 

রোববার (২ আগস্ট) রাত আটটার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন নারীসহ ৫ জন জখম হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা জানান, রসুলপুর গ্রামের অসহায় একটি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের একটি বসত ভিটা ওপর চোখ পরে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুল হাই ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের। তারা ওই জমিটুকু তাদের আয়ত্তে নেয়ার জন্য এই সংখ্যালঘু শীল পরিবারের উপর নানা রকম মানসিক অত্যাচার করে আসছিল।

রোববার বিকালে আব্দুল হাইয়ের ছেলে হাফিজুল (২৫) শীল বাড়ির সামনে এসে এই বাড়ির নারীদের অশ্লীল কথাবার্তা বলছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাইফুলের কাছে এ ঘটনার বিচার প্রার্থী হয় শীল পরিবারের লোকজন। চেয়ারম্যানের অফিস থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রসুলপুর পোষ্ট অফিসের কাছে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা হাফিজুল ও সিরাজুলের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী অমল ও সুবল শীলের রাস্তা আটকে তাদেরকে বেড়ক পিটিয়ে এলাকা থেকে উচ্ছেদ না হলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাত ৮টার দিকে হাফিজুল ও সিরাজুলের (২৩) নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শীল বাড়ির অঞ্জলী শীলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা শীল বাড়ির নারী ও পুরুষদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে অঞ্জলী শীল (৬২), অমল শীল ( ২৮), সুবল শীল (৪৫), প্রার্থনা রানী শীল (৪০), মনি রানী শীল(১৪)সহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়। সন্তাসীরা শীলবাড়িতে লুটপাটও চালায় । এ সময় তাদের চিৎকারের এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।

পূর্ব পশ্চিম

মন্তব্য করুন