ময়মনসিংহ সদরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক অটোরিকশা ‘চোর’ নিহত হয়েছেন। সেই সাথে কক্সবাজারের মহেশখালীতে র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ‘জলদস্যুর’ মৃত্যু হয়েছে।

 

রবিবার রাত সোয়া ১টার দিকে সদরের বাদেকল্পা এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি অটোরিকশা ও একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়।

নিহত খলিল (৩৭) ফুলবাড়িয়ার বাকচালা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি আন্তজেলা অটোরিকশা চোর চক্রের সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।

‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশ কনস্টেবল আমির হামজা ও জাহাঙ্গীর আলম আহত হয়েছেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাতে বাদেকল্পা এলাকায় চোর চক্রের সদস্যরা অটোরিকশা কেনাবেচা করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চক্রের সদস্যরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে অপরাধীরা পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত খলিলকে আটক করা হয়। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

এদিকে, কক্সবাজারের মহেশখালীতে র‌্যাব-৭ এর টহল দলের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুরুল কাদের রানা (৩৪) নামে এক ‘জলদস্যু’ নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৫টার দিকে মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরুল কাদের ওই এলাকার নুরুল হকের ছেলে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ সাতটি অস্ত্র ও ৬৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান।

তিনি জানান, নুরুল কাদের বঙ্গোপসাগর এলাকার ‘কুখ্যাত দস্যু’। ২৬ আগস্ট নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার এমভি মা বাবার দোয়া ও এমভি মাহিনে ডাকাতির মূল হোতা ছিলেন তিনি।

ইউএনবি

মন্তব্য করুন