বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক সাগর আহাম্মেদ (১৮) নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে দেখা করতে ডেকে নেন প্রেমিক।

গত ৭ ডিসেম্বর যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ঘটনাটি ঘটলেও গতকাল শনিবার ধর্ষণের শিকার ছাত্রী নিজে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে অভিযানে নামে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর রোববার দুই আসামি সাগর ও তার সহযোগী সজীব রহমান হৃদয়কে (১৮) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত সাগর উপজেলার পাশাপোল (মাঝেরপাড়া) গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে সজীব পৌরসভার জিওলগাড়ি (বেলেমাঠ) গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাগরের সঙ্গে দুই মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রতিদিন তাদের ফেসবুকের মাধ্যমে দুই-একবার কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সাগর ফেসবুকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে দেখা করার প্রস্তাব দেন।

প্রস্তাব অনুসারে সে উপজেলার জগদীশপুর তুলাবীজ বর্ধন খামারে দেখা করতে যায়। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে ফুসলিয়ে একটি কালো প্রাইভেট কারে তোলা হয়। গাড়ির মধ্যেই বেলা ১১টার দিকে সজীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করেন সাগর। পরে সজীবও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই ছাত্রী চিৎকার করতে থাকে। এ সময় ওই গাড়িরচালক গাড়িতে এসে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ির পাশের একটি বাজারে তাকে নামিয়ে দেন। এ সময় তারা ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, এই ঘটনা তারা ভিডিও করে রেখেছেন। কাউকে জানালে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে।

পরবর্তীতে বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানিয়ে ১৪ ডিসেম্বর শনিবার চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করে।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজিব বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

আমাদের সময়

 

মন্তব্য করুন