যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে (২৮ ফেব্রুয়ারি) কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুরুল হক ওরফে কেরু নামে এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

 

নিহত নুরুল হক কেরু মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি গ্রামের মৃত মাজেদ গাজী বক্সের ছেলে। পুলিশের দাবি, তিনি একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিনের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর উপজেলার চিংড়াখালি এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাইকালে নুরুল হককে আটক করে স্থানীয় জনতা। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে কেরু তার সহযোগী ও অস্ত্রের তথ্য দেন।

ওসির দাবি, এরপর তাকে সাথে নিয়ে মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলায় অভিযানে যায় পুলিশ। কেশবপুর ও মণিরামপুর থানার যৌথ টিম তাকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বেগারিতলার সর্দারবাড়ি নার্সারির সামনে পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে নুরুল হকের সহযোগীরা। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন নুরুল হক কেরু।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে নুরুল হককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ওই কর্মকর্তার আরও দাবি করেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউএনবি

মন্তব্য করুন