সোনারগাঁওয়ে মাওলানা মামুনুল হকের নারীসহ অবরুদ্ধের ঘটনার জের ধরে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (এপ্রিল ৬) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগররীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মুহিবুল্লাহ রাঙ্গুনীয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
রাঙ্গুনীয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জব্বার পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে। ওসি বলেন, এ ঘটনায় একজন নিহত হওয়ায় হামলার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। এরই মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩ এপ্রিল মামুনুল হক নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবরুদ্ধ হলে কোদালা এলাকায় মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। ওই মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। মাথায় আঘাত পাওয়া মুহিবুল্লাকে নগরী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিলের নামে মারধর করে দাঙ্গা সৃষ্টি ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে রাঙ্গুনিয়া থানায়। মামলা দুটিতে হেফাজতে ইসলাম, বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও সমর্থক ৬৪ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।