রাজশাহীতে পুলিশ ফাঁড়িতে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. শামীম নামে ওই এএসআইকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

 

৯ আগস্ট সোমবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাকে প্রত্যাহার করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি বিবাহিত। স্বামীর নির্যাতনের কারণে তিনি পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন। এরপর মহানগরীর বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শামীম তদন্ত করে আসেন। সেদিন তিনি ওই তরুণীকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে পাঠান। সে অনুযায়ী রোববার সকালে ওই তরুণী তার মাকে নিয়ে ফাঁড়িতে যান।

এ সময় এএসআই শামীম ওই তরুণীর মাকে রুমের বাইরে যেতে বলেন। ওই তরুণী রুমে একা থাকলে এএসআই শামীম তার শ্লীলতাহানি ঘটান। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বাবা বোয়ালিয়া থানায় এএসআই শামীমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

কিন্তু রাতেই আবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী ওই তরুণীর পরিবার এবং এএসআই শামীমকে ডেকে মীমাংসা করে দেন। তবে এই মীমাংসা না মেনে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা আরএমপি কমিশনারের কাছে যান। এরপরই পুলিশ কমিশনার অভিযুক্তকে প্রত্যাহার করেন।

বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলন, থানায় অভিযোগ হওয়ার পর ঘটনাটি সম্পর্কে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নোট দিয়েছিলাম। ওই তরুণীর বাবাও কমিশনার স্যারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এ অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য এএসআই শামীমের দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে খুদেবার্তা পাঠানোর পরও তিনি সাড়া দেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন