রাজশাহীর বাঘায় স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ছদ্মনামে মোবাইলে বন্ধুত্বের পর ওই ছাত্রীকে পার্কে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার চারমাস পর ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ নভেম্বর শনিবার ভোর রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মাস আগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ছদ্মনাম ব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন গাওপাড়া গ্রামের ঘর জামাই আলাউদ্দিন (৩৪)। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী পার্কে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনার এক পর্যায় পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীর শরীরের গঠন দেখে বুঝতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা। পরে তার কাছে বিস্তারিত জেনে আলাউদ্দিনকে মোবাইলে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।

এদিকে বিয়ের প্রস্তাব শুনে আলাউদ্দিন তার মোবাইল বন্ধ করে দেন। নিরুপায় হয়ে ১৯ নভেম্বর স্কুলছাত্রীর নানা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে শনিবার ভোর রাতে গ্রেফতার করে।

স্কুলছাত্রীর মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গেছে। এরপর থেকে আমি আমার বাবার বাড়ি থাকি। তার নানা সখ করে আমার মেয়েকে একটি মোবাইল কিনে দিয়েছে। কিন্তু সেই মোবাইল যে এতো বড় বিপদ ডেকে আনবে তা ভাবিনি।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলায় আলাউদ্দিনকে শনিবার ভোর রাতে আটক করার পর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন