রাজশাহীর মোহনপুরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কলেজছাত্রী (২০) ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) আসামিদেরকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কলেজছাত্রীর নিজে বাদি হয়ে গত (৩০ এপ্রিল) তিনজনকে আসামি করে মোহনপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মোহনপুর থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহনপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মাহমুদ বলেন, মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। গত বুধবার রাতে রাজশাহী শহর থেকে প্রধান আসামী নৈমুদ্দিন ওরফে নয়ন (২০) দ্বিতীয় আসামী তার পিতা নহির উদ্দিন (৫০) এবং নওগাঁ থেকে অপর আসামি ফাজেলা বেগম (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কালিগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামের নহির উদ্দিনের ছেলে নৈমুদ্দিন ওরফে নয়ন (২০) একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত (২১ এপ্রিল) সকাল ১০ টার সময় ভুক্তভোগীর বাড়িতে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে গত (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার বিয়ে করার কথা বলে ভুক্তভোগীকে নৈমুদ্দিন নয়ন তাদের বাড়ীতে ডেকে নেয়।
ভুক্তভোগী বাড়ীতে গিয়ে দেখে, নয়ন অন্য মেয়েকে বিবাহ করে বউ নিয়ে বাড়িতে রয়েছে। ওই সময় কলেজছাত্রী বিয়ের কথা জিজ্ঞাসা নৈমুদ্দিন নয়নের চাচী ফাজেলা বেগমসহ লোকজন মিলে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, নৈমুদ্দিন নয়নের বাবা মামলার আসামি নহির উদ্দিন বাড়ীতে এসে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে কলেজছাত্রীকে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাফত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নয়নসহ তিন আসামি পলাতক ছিলো। তবে গত বুধবার রাতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।