লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে ১০ম শ্রেণির ছাত্র আশ্রাফুল ইসলাম তামিমকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে রায়পুর থানা পুলিশ।
২ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে ওই কিশোরকে তার গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আশ্রাফুল ইসলাম তামিম দক্ষিণ চরবংশি ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের মাঝি বাড়ীর বাসিন্দা।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রায়পুর থানায় মামলা করে।
শনিবার মেডিকেল রিপোর্টের জন্য কিশোরীকে সদর হাসপাতালে এবং কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় রায়পুর থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কিশোর তামিম। বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে কিশোরীকে কয়েকবার ধর্ষণ করে তামিম। কয়েকদিন ধরে কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তামিম অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে তামিমের পরিবারের কাছে অভিযোগ দিলে তারা উল্টো হয়রানি করে বলে অভিযোগ করেন কিশোরীর নিকটাত্মীয়রা। পরে ইউপি মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে কিশোরী রায়পুর থানায় মামলা করেন।
কিশোর তামিমের বাবা মো. সেলিম ও মামা জয়নাল আবেদীন জানান, কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজিয়ে কিশোর তামিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল জলিল বলেন, শুক্রবার রাতে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। শনিবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার কিশোর তামিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।