লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় আপন খালু ও চাচাতো ভাইসহ তিনজন মিলে এক কিশোরীকে (১৬) গণধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৩১ মে সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন— উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের শহীদনগর এলাকার হোসেন ভাণ্ডারির ছেলে কিশোরীর চাচাতো ভাই রাজু প্রকাশ গাজী (৩২), একই এলাকার আনার উল্যাহর ছেলে কিশোরীর আপন খালু রমজান আলী (৩৫) এবং প্রতিবেশী আব্দুল আলীর ছেলে মো. ইউসুফ (৩০)। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন।
গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের শহীদনগর এলাকায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরের দিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হয়। ওই সময় ওঁৎ পেতে থাকা রাজু, রমজান ও ইউসুফ মুখ চেপে কিশোরীকে বাড়ির পেছনে পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে তারা কিশোরীকে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিশোরীর মা ও মামলার বাদী জানান, বসতবাড়ির জমি নিয়ে একই বাড়ির আনার উল্যাহদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে সম্প্রতি সালিশবৈঠকও হয়েছিল।
এ বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন স্বামী-সন্তানসহ তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকিও দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আনার উল্যাহর ছেলে রাজুর নেতৃত্বে তার মেয়ের সর্বনাশ করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন তিন আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।