থানায় ডেকে নিয়ে এক নারীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই আসাদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হলেও বিষয়টি ৩১ মে  সোমবার জানাজানি হয়।

 

সাধারণ ডায়েরির তদন্তের জন্য থানায় ডেকে এনে ওই নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।

মামলার বাদীর আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলা দায়েরের পর এবং পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ায় তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

জানা গেছে, মামলার বাদী নগরের সাগরদী ধান গবেষণা রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতিবেশী শহীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মামলার একমাত্র আসামি কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আসাদুল ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্তের জন্য বাদীকে থানায় ডাকেন।

থানায় গেলে এসআই আসাদুল নানান অজুহাতে তার রুমে বাদীকে বসিয়ে রাখেন। এরপর দস্তখত গ্রহণের অজুহাতে এসআই আসাদুল বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন এবং ঘাড়ে চুমু দেন। এর প্রতিবাদ জানালে মামলার আসামি বাদীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে এবং বিবাহ করার আশ্বাস দেন। বাদীর স্বামী ও মামলার প্রধান সাক্ষী এসে পড়লে বাদী আসামির কবল থেকে রক্ষা পান।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে- এ ঘটনার পরপরই বাদী বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে জানালে তিনি ঘটনার বিষয়ে বিচার করবেন বলে জানান। পাশাপাশি বিষয়টি একজন নারী এএসআই তদন্ত করবেন বলে আশ্বস্তও করেন। তবে ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে বাদী জানতে পারেন তিনি কিছুই জানেন না।

অসত্য অজুহাতে কালক্ষেপণ করার বিষয়টি বাদী বুঝতে পেরে থানায় লিখিত এজাহার দিতে চাইলে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। মামলায় থানার সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও বাদী উল্লেখ করেছেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগই করেননি। অভিযোগ করলে তদন্ত করা যেত।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন