লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে (২৮) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ জুন) দুপুরে ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
ধর্ষণ মামলা গ্রেপ্তার মাদরাসা পরিচালক শাহ মো. মনির হোসেন জেলা কারাগারে রয়েছেন। অভিযুক্ত মনির সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার মাওলানা আহম্মদ উল্যাহ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার পরিচালক।
মামলা সূত্র জানায়, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই নারী বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। তার দ্বিতীয় স্বামী থাকলেও কোনো বরণ-পোষণ দিচ্ছে না। মেয়েটিও তার আগের সংসারের। এজন্য মেয়েটিকে এতিমখানায় ভর্তি করাতে ৮ জুন তিনি মাদরাসা পরিচালক মনির হোসেনের কাছে যান। মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায় মনির ছাড়া অন্য কেউ নেই। পরে তিনি ওই নারীকে নিজকক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। মেয়েকে মাদরাসায় ভর্তি করার কথা বলার একপর্যায়ে মনির কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ওই নারীকে জোরপূর্বক মনির ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৯ জুন ক্ষতিগ্রস্ত নারী বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই নারীকে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে।
এদিকে মামলাটি তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে ওই নারীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত জহির পাটওয়ারী ও ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ওই নারী।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহির পাটওয়ারী বলেন, পূর্ব থেকে কোনো মেয়েই আমাদের মাদরাসায় ভর্তি নেই। সবাই ছাত্র। কিন্তু উনি কেন তার মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য এখানে আসবে। ঘটনাটি রহস্যজনক। আমিও ওই নারীকে চিনি না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলার পরই মাদরাসা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হুমকির ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।