ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জে মামুন নামের কওমী মাদ্রাসার এক ছাত্রকে শিকলে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
১২ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় রমাগঞ্জ ১নং ওয়ার্ড দারুস সুন্নাহ ক্বওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার মামুন ওই এলাকার ভোলায়া বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত ছাত্র মামুন জানায়, প্রায় ৪মাস আগে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ছেড়ে অন্যত্র ভর্তি হয় সে। ভর্তি হতে পূর্বের মাদ্রাসার ছাড়পত্র লাগবে বিধায় গত বুধবার সন্ধ্যায় দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষক কামাল উদ্দিন তাকে নির্মম নির্যাতন করে।
নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে মামুন জানায়, নির্যাতনে শিক্ষক কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ওই মাদ্রাসার আরও ৪ শিক্ষক যুক্ত হয়। তারা আমার হাত পা ও গলা চেপে ধরে রাখে এবং কামাল উদ্দিন বেত ও লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে বাহিরে ফেলে রাখে। এসময় ওই শিক্ষকের নেতৃত্বে মাদ্রাসার ছাত্ররা এসে আমার চুল ছেটে ফেলে।
পরে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে ও মাদ্রাসায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছি এমন কথা জানিয়ে আমার বাবার কাছে ফোন দিতে বাধ্য করে তারা। বাবা ভোলায় কাজে থাকাতে আসতে পারেন নি। পরে আমার বড় ভাই মাদ্রাসায় গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে আহত ছাত্রের বড় ভাই জানায়, মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি মামুনকে শিকলে বেঁধে বাহিরে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে তাদের কে অনেক অনুনয় করে মামুনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রের বাবা আবুল কালাম জানান, আমার ছেলে কে নির্যাতন করায় লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ। এদিকে থানায় অভিযোগ করার কারণে ওই শিক্ষকের ভাই জামাল হাওলাদার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষক কামাল উদ্দিন সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষেপে গিয়ে বলেন, আপনারা পারলে কিছু করেন।
থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই ইউসুফ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।