যশোরের শার্শায় মাদ্রাসা ছাত্র শাহ পরানকে তার শিক্ষক হত্যা করেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধর্ষণ করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে পুলিশের ভাষ্য।
শার্শা থানার এসআই মামুনুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে (১১ জুন) খুলনা জেলার দিঘলিয়া আরাবিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে হাফিজুর রহমান নামে এই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করার পর ‘তিনি হত্যার দায় স্বীকার’ করেছেন।
গত ২ জুন শার্শার গোগা গাজীপাড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজুর রহমানের ঘরের খাটের নিচে থেকে শাহ পরান (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হাফিজুর পলাতক ছিলেন।
এসআই রশিদ হাফিজুরের বরাতে বলেন, “রোজার সময় তারাবি শেষে মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে ওই শিশুকে হাফিজুর মাথা টিপে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন।পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
“পরদিন ওই শিশুকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে তাকে নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে আত্মগোপন করেন।”
হাফিজুর গোগা গাজিপাড়া গ্রামের মুজিবর রহমান মোল্লার ছেলে। বেনাপোলের কাগজপুকুর খেদাপাড়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম তিনি। নিহত শাহ পরান কাগজপুকুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে।
শার্শা থানার ওসি এম মসিউর রহমান বলেন, বুধবার দুপুরে হাফিজুরকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।