শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওয়াকুড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে এক আদিবাসী হাজং পরিবারের জমি দখলেরর চেষ্টা করছে সস্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের আত্মীয় -স্বজন। এর জের ধরে গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সুমিত্রা হাজং (৪৬) ও তার মেয়ে যুথিকা হাজং (১৪) কে ব্যাপক মারধর করে ভূমিদস্যুরা।

 

জানা গেছে, শুত্রবার সকাল ৯টায় জমির মালিক সুমিত্রা হাজং তাঁর মেয়ে যুথিকা হাজং কে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নিজ ভূমিতে মাটি কাটতে গেলে স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার হায়দার আলীর ছেলে সম্রাট, শিহাব ও পরিবারবর্গ তাদের ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়িভাবে তাদের মারতে থাকে এবং তাদের কাছ থেকে একটি বাইসাইকেল ও দুইটি কোদাল ছিনিয়ে নেয়।

ভূমিদস্যুদের দাবি, তারা এই জমি (প্রায় ২৮ শতাংশ) সুমিত্রা হাজংয়ের ভাইয়ের কাছ থেকে প্রায় দুইবছর পূর্বে কিনে নিয়েছেন। কিন্তু সুমিত্রা হাজং বলেন, গত ২০১৯ মার্চ-এ তাঁদের মাতা মারা যাওয়ার পর এই ভিটেমাটিই তাদের মায়ের রেখে যাওয়া সর্বশেষ সম্পত্তি । এটি বিক্রির কোন সিদ্ধান্ত পরিবারে (দুইবোন ও এক ভাই) কিংবা সমাজের কোন লোকের সাথে আলোচনা হয়নি। আগেও ভূমিদস্যুরা এই জমির জন্য তাদের নানারকম হুমকি দিয়েছে। ভিকটিম সুমিত্রা ও তার মেয়ে এ ঘটনার অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

এ ঘটনায় ভিকটিম নালিতাবাড়ি থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ গ্রহণের পর থানা হতে এসআই সুমনের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে।

স্থানীয় আদিবাসীরা জানান, ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৭ ধারা অনুসারে সমতলের আদিবাসীদের জমি অ-আদিবাসীদের কাছে বিক্রি বা হস্তান্তরের বিষয়ে বাধানিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু এ আইনের অপব্যবহার করে এখনও ভূমিদস্যু ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা আদিবাসীদের ভূমি বেদখল করে নিচ্ছে এবং আদিবাসীদের ওপর নানারকমের নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

আদিবাসী নিউজ ডট নেট

মন্তব্য করুন