বাড়িতে একা পেয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটী ইউনিয়নের উত্তর ঘোনাপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী।

 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার স্বামী ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে থাকেন। দুটি সন্তান নিয়ে উত্তরঘোনাপাড়া গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন ওই গৃহবধূ। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী রাণীশিমূল ইউনিয়নের বাঘহাতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন ওরফে জসি হাজীর ছেলে মনিমুক্তা ওরফে মনির তাকে মাঝে মধ্যে উত্ত্যক্ত করতো।

গৃহবধূ বলেন, ঈদে গরু বিক্রির করার জন্য আমার বাবা ঢাকায় যায়। মঙ্গলবার রাতে মনির আমার বাড়িতে এসে বসতঘরে প্রবেশ করে। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার মুখ গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য লোকজন বৈঠকের কথা বলে আমাদের বসতবাড়ির উঠানে বসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মনিমুক্তা ওরফে মনির তার বড় ভাই ও ইউপি সদস্যর সহযোগিতায় বৈঠক থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা বলেন, ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। বৈঠক চলাকালীন সময়ে একজনের সাথে কথা বলতে চেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন