র বিরুদ্ধে আবারও মানহানির মামলা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট বুধবার রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলি আদালতে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী মনোয়ার হোসেন জনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

 

আদালতের বিচারক সুধাংশু শেখর রায় এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন হায়দার। প্রবীর শিকদার ‘দৈনিক বাংলা ৭১’, ‘উত্তরাধিকার-৭১’ নিউজ পোর্টাল এবং ‘উত্তরাধিকার’ নামের একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকার সম্পাদক।

মামলায় বলা হয়, ‘মামলার বাদী প্রেষণে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। বিবাদী ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর ফেসবুক আইডিতে “পাংশার অধ্যক্ষ আরজের বাড়িতে বোমা হামলার নায়ক জনি এবং ইউসুফ মেম্বার, নেপথ্যে এমপি জিল্লুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিম” লিখে প্রচার করেন। একই তারিখে “এই সেই মনোয়ার হোসেন জনি, যাহাকে গ্রেপ্তার করলে মিলবে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার” লিখে বাদীর ছবি যুক্ত করে প্রচার করেন। ১ আগস্ট “স্যালুট রাজবাড়ীর পুলিশকে, রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি জিল্লুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিমের নিজস্ব ক্যাডার গ্রুপ মনোয়ার হোসেন জনির নেতৃত্বে হাতুড়ি বাহিনীর দুর্ধর্ষ ক্যাডার আলামিন মন্ডলকে দেশে তৈরি একটি শুটার গান, ৫ রাউন্ড গুলি ও চাপাতিসহ পাংশা থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে” লিখে প্রচার করে। এতে বাদীর ১ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।’

প্রবীর শিকদার বলেন, ‘সে একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও একটি সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়। একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা হিসেবে কী করে এই মামলা করতে সাহস পায়, তা ভেবে আমি বিস্মিত!’

গত ২৯ জুলাই রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মাঝবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন বাদী হয়ে প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করেন। ইউসুফ রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম শিক্ষক।

এর আগেও ২০১৫ সালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে তাঁর বিরুদ্ধে জেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির উপদেষ্টা ও জেলা জজ কোর্টের এপিপি স্বপন পাল মামলা করেন। মামলাটি এখন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন