সাতক্ষীরায় সিরিজ বোমা হামলার মামলায় ৮ জঙ্গিকে ১৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বাকি ১০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মামলায় একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলেন- মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু । সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফকর উদ্দিন আল রাজি, নাইম ও খায়ের পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরার ৫টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা কারাগারে, অন্যান্যরা জামিনে এবং পলাতক রয়েছে।

শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে এই বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে।

২০০৭ সালে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদের দায়েরকৃত মামলায় আগের মামলার আসামিসহ আরও ৪ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করা হয়।

আসামিরা দেশের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থান করায় মামলার রায় হতে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর লেগে যায়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে নাসিরুদ্দিন দফাদার নামে একজন ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মস্তিস্কের রক্ষক্ষরণজনিত কারণে সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যায়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়।

এই সূত্র ধরে ভারতীয় নাগরিক গিয়াস উদ্দিনসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) এ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানান তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়।

রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আব্দুস সামাদ।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন