সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ও ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাসা ছাত্রীকেও ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১৮ অক্টোবর রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার চাটিবহর ছড়াটিলা গ্রামের সিএনজি চালক ফখরুল ইসলাম ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৯ অক্টোবর) মেয়েটির মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্ত ফখরুলকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে আসামিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, ১৮ অক্টোবর শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামে মিরাজ আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মিরাজের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার রাতে ওই ছাত্রী বাড়ির সামনে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় মিরাজ তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, “এই দুই ধর্ষণের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই মামলার আসামি মিরাজ আলীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”
তিনি আরো জানান, “মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিগগিরই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”