সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামে এক কিশোরীকে সারারাত ধরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১ জুন) ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও তিন জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র একটি খবরে বলা হয়।

 

মামলার অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের বশিরপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (২০), একই গ্রামের বারিক মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ জসিম (২১) ও আবদুল মিয়ার ছেলে আফিজ মিয়া (২০)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত মিজানের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিজানের সাথে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথা হতো কিশোরীর। আর সেই সুযোগে ঈদের দিন রাত ১২টার দিকে কিশোরীকে ফোন করে দেখা করতে বলে মিজান। তার কথা মতো ভুক্তভোগী ঘর থেকে বের হলে মিজান ও তার সহযোগীরা কিশোরীর মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দিয়ে সারারাত গণধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন চালান।

পরের দিন সকালে ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থিত বাড়ির এক নারী ওই কিশোরীকে রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।

বাড়িতে ফেরার পর মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর তারা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, “মামলাটি তদন্ত করবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। আর তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন