সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাথারিয়াকান্দা গ্রামে শ্মশানঘাট নির্মাণ কেন্দ্র করে চারজনের ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ সাতজনের নামে মামলা করা হয়েছে।

 

২২ মার্চ সোমবার রাতে পাথারিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও শ্মশানঘাট নির্মাণ কমিটির উপদেষ্টা জগদীশ বর্মণ (৭০) বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দু–তিনজনকে আসামি করে একটি মামলাটি করেন।

এর আগে ২১ মার্চ রোববার রাত ১টার দিকে ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের (৪৮) নেতৃত্বে তার ছোট ভাই আসাদুল মিয়াসহ ৫ থেকে ৬ জন শ্মশানঘাটের মালামাল পাহারার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেন। এতে চারজন আহত হন।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো আসাদুল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দোষীদের শাস্তির আওয়ায় আনতে হবে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক ধরে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও নতুনপাড়া ও পাথারিয়াকান্দা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে একটি শ্মশানঘাটের নির্মাণকাজ চলে আসছে। নানা কারণ দেখিয়ে এই শ্মশানঘাটের নির্মাণকাজে বাধা দিয়ে আসছিলেন একই ইউনিয়নের নোয়াগাঁও নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম (৪৮)।

শ্মশানঘাট নির্মাণের জন্য সেখানে রাখা রড, বালু, ইট ও পাথর চুরি হতে পারে-এ আশঙ্কায় রাতের বেলায় পাহারা দেওয়া হচ্ছিল। গত রোববার রাত ১টার দিকে ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের (৪৮) নেতৃত্বে তার ছোট ভাই আসাদুল মিয়াসহ ৫ থেকে ৬ জন শ্মশানঘাটের মালামাল পাহারার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেন। এতে চারজন আহত হন।

হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার বিকালে পাথারিয়াকান্দা থেকে ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন