এ নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক ৮ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের চর মধ্য বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ গণধর্ষনের ঘটনায় আজ মুরাদ (২৫) নামে ১ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং ২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক ১১ জনের আসামীর মধ্যে ৮ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল।
আটককৃত মুরাদ চর মধ্য বাগ্যার মো. রফিকের ছেলে। পুলিশী তদন্তে নাম আসায় ৬ জানুয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়ার একটি ইটভাটা থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে ২ নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের কাছে মুরাদ ১৬৪ ধারায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। একই আদালতে মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন (সাবেক মেম্বার), মূল হোতা হাসান আলী ভুলুর ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে, বিজ্ঞ আদালত রুহুল আমিনকে ২ দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ ও মূল হোতা হাসান আলী ভুলুর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, পুলিশী তদন্তে নাম আসায় ৬ জানুয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়ার একটি ইটভাটা থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই আদালতে ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন, মূল হোতা হাসান আলী ভুলুর ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে, বিজ্ঞ আদালত রুহুল আমিনকে ২ দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ ও মূল হোতা হাসান আলী ভুলুর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামীর মধ্যে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, প্রধান আসামী মো. সোহেল (৩৫), ৩নং আসামী স্বপন (৩৫), ৫ নং আসামী বেচু (২৫), ৬ নং আসামী বাদশা আলম ওরপে বাসু, ৭ নং আসামী আবুল (৪০) ও ৯ নং আসামী ছালাউদ্দিন। এছাড়া তদন্তে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন (সাবেক মেম্বার), মূল হোতা হাসান আলী ভুলু, জসীম উদ্দিন ওরপে জইস্যা, মুরাদ ও হেঞ্জু মাঝি (২৯)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, এজহারভুক্ত পলাতক ২ নম্বর আসামি হানিফ (৩০), ৪ নম্বর আসামি চৌধুরী (২৫) ও ৮ নম্বর আসামি মোশারফ (৩৫) কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।