হবিগঞ্জের বাহুবলে জিহাদি বই বিলি করার সময় বিতর্কিত সংগঠন হেযবুত তাওহীদের দুই নারীসহ ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার মিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক ছবি তুললে নারী নির্যাতন মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন আটককৃত নারীরা।

আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বগলাখাল গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর মেয়ে জহুরা ফাইজা (১৭), একই উপজেলার রাজিউড়া গ্রামের নুরুজ মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), আদ্যপাশা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), মো. ফজর আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (২৭) ও লস্করপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে শাকিল মিয়া (১৮)।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হেযবুত তাওহীদ নামের একটি বিতর্কিত সংগঠনের সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মিরপুর বাজারে হেযবুত তাওহীদের ১৪-১৫ জন নারী সদস্য তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে কৌশলে সাধারণ লোকদের মাঝে বিভিন্ন জিহাদি বই বিলি করে। আর তিনজন পুরুষ সদস্য আড়ালে থেকে এই তিনটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাদের জিহাদি বই বিলি ও আচরণে সন্দেহজনক হলে স্থানীয় লোকজন সংগঠনের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দুই নারীসহ ৫ জনকে জনতা আটক করলেও তাদের অপর সহযোগীরা দুটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে শায়েস্তাগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংবাদিকগন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ও ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয় এবং পরে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া হেযবুত তাওহীদের জেলা সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে পরিচয়ে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে সাংবাদিককে নারী নির্যাতন মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত আদ্যপাশা গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, বিতর্কিত সংগঠনে জড়িয়ে গ্রামে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করার কারণে কিছুদিন পূর্বে আটক জাহাঙ্গীর আলম ও আনোয়ার আলীসহ তাদের অন্যান্য সদস্যদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।

খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এসআই মাহমুদ ও এএসআই শাহিদুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই নারীসহ ৫ জনকে আটক করে। এবং তাদের সাথে থাকা বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় লোকজনের সামনে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক পুরুষ সদস্য ইতিপূর্বে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার কথাও স্বীকার করেন।

বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের গুরুত্ব সহকারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সিলেট টু ডে

মন্তব্য করুন