ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রাওনা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৫ এপ্রিল সোমবার বিকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত দবির উদ্দিন (৫২) নামের ব্যক্তিকে আটক করেছে গফরগাঁও থানা পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রী, তার পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধোপাঘাট গ্রামের ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাতায়তের পথে উত্যক্ত করতো একই গ্রামের দবির উদ্দিন। এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে গফরগাঁও-শিবগঞ্জ সড়কের ধোপাঘাট গ্রামের একটি নির্জন এলাকায় একটি বন্ধ মার্কেটের এক কক্ষে নিয়ে যায়। গলা কেটে খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে দবির উদ্দিন।

আজ সোমবার সকালে দবির উদ্দিন আবার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে বন্ধ মার্কেটের কক্ষে ঢুকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকালে মাদ্রাসা ছাত্রীর চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় ধর্ষক দবির উদ্দিন পালিয়ে যায়। পথচারীরা মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। ঘটনা শোনা মাত্র মাদ্রাসায় উপস্থিত ছাত্রীরা ধর্ষকের বিচার ও শাস্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে।

এদিকে, গফরগাঁও থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত দবির উদ্দিনকে ধোপাঘাট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান, এ ঘটনায় ধর্ষক দবির উদ্দিনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।তদন্ত চলছে।’

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন