অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার খবরে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন সংখ্যালঘু এলাকার ঘরবাড়িতে হামলা, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ ও নারী নির্যাতনের বহু দুঃখজনক ঘটনা ঘটে চলেছে। বিবৃতিদাতারা বলেন, গণতন্ত্রে ধর্ম, বণর্, নারী, পুরুষ সকলেই সমান। তদুপরি বাংলাদেশের চিরায়ত ঐতিহ্য হলো অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলাম শান্তি ও সৌহার্দের কথাই বলে। বিবৃতিদাতারা আশা প্রকাশ করছেন প্রশাসন ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সকল সদস্যবৃন্দ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল পক্ষ সমাজের সর্বস্তরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখাকে গুরুত্ব দেবেন, অন্যথায় দেশের ভবিষ্যৎ সংশয়াকীর্ণ হবে ও যথার্থ আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র্র্র্র্র্র নির্মাণের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, প্রবীণ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী, নারীনেত্রী বেগম উমরুতল ফজল, ড.অনুপম সেন, সাবেক উপাচার্য আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন, ডা.কামাল এ খান, বেগম মুশতারি শফি, এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, আবুল মনসুর, ড.মাহবুবুল হক, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বাকী, সাংবাদিক আবুল মোমেন।
ভোরের কাগজ, ৬ অক্টোবর, ২০০১