জেলার সরিষাবাড়িতে নির্বাচনোত্তর বিএনপির সন্ত্রাসী তাণ্ডবলীলা, লুটপাট ও হুমকি-ধামকি অব্যাহত রয়েছে। ওই সন্ত্রাসের শিকার হয়ে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থক, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, চাকুরিজীবী ও সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে জামালপুর শহর সহ সরিষাবাড়ির আশেপাশের উপজেলায় আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের অভিযোগ থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করছেনা। সরিষাবাড়ির পিংনা ইউনিয়নের বাড়ইপটল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য সুনীল চন্দ্র ঘোষ গত শনিবার রাতে এ প্রতিনিধিকে জানান, বিএনপির স্থানীয় ২০/২৫ জন সশস্ত্র যুবক গত ২ অক্টোবর সকালে মিছিল নিয়ে গিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয়। তার ঘরে থাকা মরচে ধরা রামদা ও তার ছেলের ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। বাড়ইপটল এলাকায় ২২৫ জন সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে আতঙ্কে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ে ও স্কুল পড়ুয়া এক ছেলেকে নিয়ে ৩ অক্টোবর রাতে পালিয়ে জামালপুর শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তার সেচ যন্ত্রের ৬০ ফুট বৈদ্যুতিক তার খুলে নিয়ে গেছে বলে জানালেন। এদিকে উপজেলার বাউসি ঋষিপাড়ায় গতকাল রোববার সকালে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা ও লুটপাট করেছে। এখানে শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, গতকাল এখান থেকে ১০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রথম আলো, ৮ অক্টোবর ২০০১