আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে ’৯১, ’৯৬ এবং ২০০১-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে বিএনপির সমর্থকরা কালিয়াকৈরে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বিচারে হামলা, লুটপাট ও দখল চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের পরদিন থেকে। সবচেয়ে আক্রোশে পড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুট, বাড়িঘরে হামলা ও শারীরিক নির্যাতনের অসংখ্য নজির স্থাপিত হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত কালিয়াকৈর বাজারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দোকানপাট বন্ধ ছিলো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলার ভয়ে কালিয়াকৈর শহরে উঠতে পারছে না। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের কালিয়াকৈর প্রতিনিধিরা হুমকির মুখে আত্মগোপন করেছে। রবিবার (৭ আক্টোবর) ছাত্রদল নামধারী মহসিনের নেতৃত্বে কালিয়াকৈর প্রেসক্লাব দখল করে ছাত্রদলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। শনিবার রাতে প্রেসক্লাব সভাপতি আইয়ুব রানা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন খোকনকে একদল মুখোশধারী প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল মালেক গত ৭ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় তার দপ্তরে নির্বাচন-পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান রাখা প্রসঙ্গে সর্বদলীয় সভা ডাকেন। কালিয়াকৈর বাজারের কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মতি সাহার ১৯ হাজার টাকা প্রকাশ্যে নিয়ে যায়। পানের দোকানি শ্যামকে মারধর করে ক্যাশ লুট করে। গোলয়া গ্রামের মঞ্জুরানী রায় ও তার মা সজোদা রানী রায়ের গলার চেন ছিনিয়ে নেয়।
মাতৃভূমি, ১১ অক্টোবর ২০০১